• ৩ পৌষ ১৪৩২, রবিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

In India

দেশ

এই আলো এই অন্ধকার

আলো -অন্ধকারে যাই -মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়,কোন এক বোধ কাজ করেআলো আর অন্ধকার যে শুধু কবির বোধ জাগায় তা নয়। প্রকৃতির নিয়মে মানুষের সমাজেও আলো আর অন্ধকারের পাশাপাশি অবস্থানে ছড়িয়ে থাকে বিষাদ আর সুখ। ধান ভানতে শিবের গীত গেয়ে লাভ নেই অতএব থামা যাক। লোকসভা নির্বাচনের চালচিত্রে যে প্রসঙ্গে আলো অন্ধকারের কথা মনে এল এবার সে কথাই শুরু হোক।পঞ্চম দফার ভোট পর্যন্ত গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় ভোট দানের হার কমা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। পঞ্চম দফার শেষে দেখা যাচ্ছে কয়েক কোটি মানুষ এবার ভোট দিলেন না। তাঁরা কি গনতন্ত্রে আস্থা হারালেন? নাকি ভোট কম পড়ার পিছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে? এর উত্তর খুঁজতেই বিভিন্ন পন্ডিত ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নানান মতামত দিচ্ছেন। ভোট দানের হার কমার মাঝে পঞ্চম দফার ভোটে দেখা যাচ্ছে পুরুষদের থেকে মহিলাদের ভোট দানের হার বেশি। ২০ শে মে আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ৪৯ টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট দান সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে এই ৪৯ টি লোকসভা কেন্দ্রে মহিলাদের ভোট দানের হার ৬৩ % এবং পুরুষদের ভোটদানের হার ৬১.৪৮% ।আরও পড়ুনঃ ভোটের সুনামিতবে জম্মু কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিম বঙ্গে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ভোটদানের হার সামান্য বেশি। পাশাপাশি বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে পুরুষ এবং মহিলাদের ভোট দানের হারে ব্যাবধান অনেকটাই বেশি। বিহারে মহিলা ভোট পড়েছে ৬১.৫৮% আর পুরুষ ভোট পড়েছে ৫২.৪২ % । ঝাড়খণ্ডে মহিলা ভোট দানের হার ৬৮.৬৫ % এবং পুরুষদের ভোটদানের হার ৫৮.০৮ % । এই নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের ই পাখির চোখ মহিলা ভোট। নারী শক্তির জয়গান আর মহিলাদের জন্য কল্যাণমূলক প্রকল্পের প্রবল প্রচারে নির্বাচনী ক্ষেত্র মুখর। তাই বলা ই যায় রাজনৈতিক দল গুলির প্রাণভোমরা বন্দী রয়েছে নারী শক্তির ভাঁড়ারে। যদিও ভোট টানার জন্য কিছু কল্যাণময় প্রকল্প ছাড়া মহিলাদের মূল সমস্যা দূর করার কোনো দিশা নেই। তবু ভোটের গনগনে আঁচের মধ্যে রাজনীতির পরিসরে মহিলাদের স্বর প্রতিষ্ঠার এই স্ব-উদ্যোগ যেন ঠান্ডা বাতাস।আরও পড়ুনঃ গ্যারান্টি বনাম ন্যায় - ভোটের হালহকিকততবু আলোর পাশেই তো অন্ধকার থাকে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে দেশের প্রায় পাঁচ কোটি প্রথম বার ভোটারের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করেছেন। সবচেয়ে করুণ চিত্র বিহারে। জাতীয় জনসংখ্যার বিচারে বিহারের জনসংখ্যায় তারুন্যের ভাগ সবচেয়ে বেশি। সেই রাজ্যে কম বয়সীদের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন। দিল্লিতে এই সংখ্যা ২১ শতাংশ। দেশের তরুণ নাগরিকদের ভোটদানে এই অনীহার কারণ কি? তারা কি গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আগ্ৰহ হারাচ্ছেন? এর উত্তর খোঁজা অত্যন্ত জরুরি। ভারতের মত বৃহত সংখ্যক তরুণ, তরুণীর দেশে এই প্রবণতা গনতন্ত্রের পক্ষে অশুভ ইঙ্গিত

মে ২৭, ২০২৪
দেশ

Begging: দেশে বেড়ে গিয়েছে ভিখারির সংখ্যা, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

করোনা মহামারি কেড়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষের অনেক কিছু। মাথায় হাত পড়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এমন সব খবর তো গত এক দেড় বছরে অনেক শোনা গিয়েছে। কিন্তু এবার যে খবর সামনে আসছে সেটা শুনে মুষরে পড়তে পারেন অনেকেই। দিল্লি সরকারের একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, দিল্লির রাস্তায় গত কয়েক মাসে ভিখারির সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট- এর সেই সার্ভের রিপোর্ট বলছে, করোনা মহামারির এই চূড়ান্ত দুঃসময়ে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বেকার হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। আরও পড়ুনঃ প্যারিসে পৌঁছে অন্যরকম অভ্যর্থনা পেলেন লিওনেল মেসিচলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেখানে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। দিল্লির রাস্তায় এখন ৫২ শতাংশ বেড়েছে বেকারের সংখ্যা। গত পাঁচ বছর ধরে বহু নতুন ভিখারি দেখা গিয়েছে দিল্লির রাস্তায়। সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, মাত্র ৮ শতাংশ ভিখারি ছোটবেলা থেকে ভিক্ষা করতে বাধ্য হয়েছে। আইএইচডি-র রিপোর্ট বলছে, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, অশিক্ষা এবং শারীরিক সমস্যার জন্য ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দিল্লির বিভিন্ন রাস্তায় এমন মানুষদের ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখা গিয়েছে যাঁরা করোনা মহামারির সময় কাজ হারিয়েছেন। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষের মাথার উপরে ছাদ নেই। অর্থাৎ শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষায় মাথা গোঁজার কোন ঠাই নেই তাঁদের। দিল্লির রাস্তায় ভিক্ষাবৃত্তি করা মানুষদের ৪৫ শতাংশ ঝুপড়িতে থাকতে বাধ্য হন। করোনা মহামারির জন্য কাজ হারিয়ে ভিক্ষা করতে বাধ্য হওয়া মানুষদের সংখ্যাটা উল্লেখযোগ্য। তাঁদের মধ্যে অনেকেই অবশ্য ছোটখাটো কাজ করেন। কিন্তু হাতে যা টাকা আসে তা দিয়ে সংসার চলে না। ফলে বাড়তি উপার্জনের জন্য তারা ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করছেন। কুড়ি শতাংশ ভিখারি এমন রয়েছেন যাঁরা এই পেশায় আসার আগে দিনমজুর, কারখানার শ্রমিক, পরিচারক বা পরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন।

আগস্ট ১১, ২০২১
দেশ

Modi: 'লোকার গোজ গ্লোবাল'-এ বেকারত্ব দূরীকরণে বিশেষ পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

শুক্রবার লোকাল গোজ গ্লোবাল- মেক ইন ইন্ডিয়া ফর ওয়ার্ল্ড নামক একটি অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দেশের ব্যবসা উন্নয়নে শিল্পপতিদের বিশেষ জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন। করোনা বয়ে এনেছে দেশে বেকারত্বও। যুব সম্প্রদায়ের কথা মাথায় রেখেই তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিল্পপতিদের রপ্তানি শিল্পে বিশেষ জোর দেওয়ার পরামর্শ দিলেন। করোনার ধাক্কায় দেশের অর্থনীতির গতি ধীর হয়েছে, তাকেই পুরনো গতিতে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ সাহায্য করতে পারে রপ্তানি শিল্প, এমনটাই মত প্রধানমন্ত্রীর।আরও পড়ুনঃ ভারতীয় হকির পুনর্জন্মে নেপথ্য নায়ক নবীন পট্টনায়েকতিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের জিডিপির ২০ শতাংশ নির্ভর করে রপ্তানির উপর। আমাদের দেশের অর্থনীতির আয়তন, ক্ষমতা ও উৎপাদন ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে বলতে পারি যে রপ্তানিতে আরও বৃদ্ধি সম্ভব।তিনি বলেন, গুণমান ও বিশ্বাসযোগ্যতার মাধ্যমে নিজেদের পরিচয় তৈরি করার এটিই সঠিক সময়। বিশ্বের প্রতিটি কোণায় যাতে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা তৈরি হয়, তার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আগামী ২৫ বছরের পরিকল্পনা এখনই করে রাখতে হবে। এটি কেবল দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপনেরই সময় নয়, একই সঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগও।করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বে বাণিজ্যের দরজা যে খুলতে শুরু করেছে, তার উপযুক্ত ব্যবহার করা উচিত ভারতীয় রপ্তানিকারকদের, এই পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দেরও তিনি অনুরোধ করেন ভারতীয় পণ্য বিক্রির জন্য নতুন বাজার তৈরিতে সাহায্য করতে। বিশ্ব বাজারে রপ্তানি বাড়াতে ভারতের বাধাহীন ও উচ্চ মানের সরবরাহ ব্যবস্থার প্রয়োজন, যা খরচ সাপেক্ষও হবে না, এমনটাই জানান প্রধানমন্ত্রী।

আগস্ট ০৭, ২০২১
স্বাস্থ্য

Corona-Nasal spray: করোনা প্রতিরোধে নতুন দিশা, বাজারে আসছে ন্যাজাল স্প্রে

করোনা প্রতিরোধে শুধু টিকাতেই আটকে থাকতে চান না বিজ্ঞানীরা। তাই বাজারে আসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে করোনার ওষুধ। ইতিমধ্যে ডিআরডিও-র তত্ত্বাবধানে একটি ওষুধও এসে গিয়েছে। আর এবার করোনা প্রতিরোধে ন্যাজাল স্প্রে বাজারে আসার অপেক্ষায়। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই তৃতীয় ট্রায়াল শেষ করে ফেলবে করোনার ন্যাজাল স্প্রে। ভারতে এর তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস (Glenmark Pharmaceuticals)। সংস্থার দাবি, করোনার বিরুদ্ধে তাঁদের ন্যাজাল স্প্রে অত্যন্ত কার্যকর।আরও পড়ুনঃ বর্ধমানে নকল স্যানিটাইজারের রমরমা, গ্রেপ্তার ৪জানা গিয়েছে, তাঁদের ন্যাজাল স্প্রে বাজারজাত করার অনুমতি চেয়ে গত সপ্তাহে ড্রাগ রেগুলেটরের কাছে আবেদন করেছে গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস (Glenmark Pharmaceuticals)। যদিও ড্রাগ রেগুলেটরের অন্তর্গত সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি (SEC) প্রথমে সংস্থাটিকে তৃতীয় ট্রায়াল সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছে। যা শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে। সংস্থার দাবি, সামনে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে কানাডার সংস্থা স্যানোটিজের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস (Glenmark Pharmaceuticals)। এই বিষয়ে সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারতে সার্স-কোভ-২ (SARS-COV-2) ভাইরাসের মোকাবিলা করতে একসঙ্গে কাজ করবে তাঁরা।ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশেই তাঁদের ন্যাজাল স্প্রে বাজারজাত করেছে কানাডার সংস্থা স্যানোটিজ (Sanotize)। যা করোনার বিরুদ্ধে খুবই ভাল কাজ করছে বলেই সূত্রের খবর।

জুলাই ০৯, ২০২১
দেশ

দেশে একদিনের করোনার বলি প্রায় ৪০০০

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দেশের ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮ জন। একদিনে করোনার বলি ৩৯১৫। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৫০৭ জন। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৩৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ১৬৪।আইসিএমআর-এর রেকর্ড অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২১৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৯০। ইতিমধ্যে টিকাকরণ হয়েছে ১৬ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫৮ জনের। যা মোট জনসংখ্যার তুলনায় সামান্যই। টিকাকরণের শ্লথ গতির কথা অবশ্য মেনে নিয়েছে কেন্দ্রও।বৃহস্পতিবার দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ১২ হাজারের বেশি। আর শুক্রবার তা তৈরি করল নয়া রেকর্ড। মৃত্যুর হারও আগের কয়েকদিনের চেয়ে বেশি। সুস্থতার পরিসংখ্যানেও তেমন স্বস্তি নেই। এখনও পর্যন্ত করোনাকে কাবু করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন দেশের ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ১২ হাজার ৩৫১ জন। দেশের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে দফায় দফায় জারি হচ্ছে লকডাউন। কোথাও আবার কার্ফু জারির মাধ্যমে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার চেষ্টা চলছে। কোভিড মোকাবিলায় ভারতের দিকে হাত বাড়িয়েছে কার্যত গোটা বিশ্বই। ব্রিটেন, রাশিয়া, ফ্রান্স, সুইডেন-সহ একাধিক দেশ চিকিৎসা সরঞ্জাম, টিকা দিয়ে সাহায্য করেছে। শুক্রবার সকালে সুইজারল্যান্ড থেকেই পণ্যবাহী বিমানে দিল্লিতে নেমেছে ৫০টি রেসপিরেটর, যা এই মুহূর্তে সংকটজনক করোনা রোগীকে বাঁচানোর চিকিৎসায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অক্সিজেনের অভাব মেটাতে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হচ্ছে প্লান্ট। এত কিছু সত্ত্বেও লাগামহীন করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিন রেকর্ড ভেঙেই চলেছে। দ্বিতীয় ধাক্কায় যদি এই পরিস্থিতি হয়, তবে আসন্ন তৃতীয় ঢেউ আরও কতটা ভয়ংকর হবে, তা ভেবেই আশঙ্কিত আমজনতা।

মে ০৭, ২০২১
দেশ

ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতি, ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত সাড়ে ৩ লক্ষ!

মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ থেকে বেড়ে সাড়ে তি লক্ষে পৌঁছে গেল। যা গোটা বিশ্বে নজিরবিহীন। লাগামছাড়া সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আর বাড়তে থাকা অ্যাকটিভ কেসই বলে দিচ্ছে, কেন চতুর্দিকে অক্সিজেন এবং বেডের অভাব। রীতিমতো দেশকে নাড়িয়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৯১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর বেশিরভাগটাই যে মহারাষ্ট্রে, তা বলাই বাহুল্য। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু মুম্বইতেই সংক্রমিত প্রায় ৬ হাজার মানুষ। একইভাবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজধানী দিল্লি। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছে কেরজিওয়ালের সরকার বলেই খবর। দেশে মোট করোনা আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ১ কোটি ৬৯ লক্ষ ৬০ হাজার ১৭২-এ। এদিকে একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারালেন ২,৭৬৭ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৩১১ জন। লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে করোনার চিকিৎসাধীন ২৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৫১ জন।পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ১৭ হাজার ১১৩ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৮৫ হাজার ১১০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। টিকা পেয়েছেন ১৪ কোটি ৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ। দেশজুড়ে করোনার নয়া তাণ্ডব রুখতে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ১ মে থেকে আবার ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। আইসিএমআর-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৭ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৮৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তবে শুধু বাড়তে থাকা সংক্রমণই নয়, চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেনও।

এপ্রিল ২৫, ২০২১
দেশ

করোনা সংক্রমণে বিশ্বরেকর্ড ভারতের

দৈনিক করোনা সংক্রমণে বিশ্বের সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দিল ভারত। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লাগাতার বাড়ছিল করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার তা যেন মাত্র ছাড়িয়ে গেল। বিশ্বের সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে একদিনে করোনা আক্রান্ত হলেন প্রায় ৩ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষ। এর আগে গতবছর ১৭ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় একদিনে ৩ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ করোনার কবলে পড়েছিলেন। সেই রেকর্ডও এদিন ভেঙে দিল ভারত। আক্রান্তের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাটাও বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে।বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৩৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১৮ হাজার বেশি। এই সংখ্যাটা দেশের তো বটেই গোটা বিশ্বের সর্বকালের সর্বোচ্চ। আপাতত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৯ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৬৫ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৮০ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১০৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৪১ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের প্রায় অর্ধেক। যার ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ২২ লক্ষ ৯১ হাজার ৪২৮ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৮০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকা পেয়েছেন ১৩ কোটি ২৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৬৪৪ জন সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই দেশের বহু রাজ্য কার্ফু এবং লকডাউনের পথে হেঁটেছে। যে তালিকায় সাম্প্রতিকতম সংযোজন মহারাষ্ট্র। আজ থেকেই মরাঠাভূমে শুরু হচ্ছে কঠোর কার্ফু। ঝাড়খণ্ডেও আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৭ দিনের কার্ফু।

এপ্রিল ২২, ২০২১
দেশ

৬ মাস পর দেশের দৈনিক সংক্রমণ ফের ৮১ হাজার পেরলো

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্রমেই বেসামাল হচ্ছে দেশের কোভিড পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭২ হাজার। শুক্রবার তা প্রায় সাড়ে ৮১ হাজার। ২৮ সেপ্টেম্বরের পর এত সংখ্যক লোক এক দিনে আবার আক্রান্ত হলেন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি সবচেয়ে করুণ। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা গোটা করোনাকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেখানে এক দিনে আক্রান্ত ৪৩ হাজার ছাড়িয়েছে।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত ৮১ হাজার ৪৬৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৩ হাজার ১৩১ জন। করোনার নতুন প্রজাতির জন্যই সংক্রমণ এ রকম আকার নিচ্ছে বলে সম্প্রতি মত প্রকাশ করেছিলেন দিল্লি এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। দেখা যাচ্ছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এক লাফে বাড়িয়ে দিয়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। দেশের দৈনিক মৃত্যু এক মাস আগেও ছিল ১০০-র আশপাশে। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৪৬৯। মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৪৯ জনের। কর্নাটক, দিল্লি, পঞ্জাব এবং ছত্তিশগড়েও গত কদিনে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।

এপ্রিল ০২, ২০২১
দেশ

দেশে একদিনে করোনার কবলে প্রায় ৪১ হাজার

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ গোটা দেশকে জেরবার করে দিচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা ৪০ হাজারের উপরে ঘোরাফেরা করছে। ব্যতিক্রম হল না মঙ্গলবারও। এদিন আরও একবার একদিনে আক্রান্ত হলেন প্রায় ৪১ হাজারের কাছাকাছি। মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভোটমুখী রাজ্য কেরল, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি। এরাজ্যেও বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। তবে হঠাত করোনার এই বাড়বাড়ন্তের নেপথ্যে সবচেয়ে বড় কারণ মহারাষ্ট্রের মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা। উদ্ধব ঠাকরের রাজ্য শুরু থেকেই করোনার হটস্পট ছিল। দেশের অধিকাংশ রাজ্যে কোভিড নিয়ন্ত্রণে ছিল, তখনও মারণ ভাইরাসকে বাগে আনতে পারেনি মহারাষ্ট্র। এখন আবার নতুন করে এই মহারাষ্ট্রই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্রেফ গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজারের বেশি।বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪০ হাজার ৭১৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে কয়েক হাজার কম হলেও সার্বিকভাবে উদ্বেগজনক। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯৬ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬০ হাজার ১৬৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৯ জনের। এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে সামান্য কম।গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন মাত্র ২৯ হাজার ৭৮৫ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অনেকটা কম। ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৭৭ জন। গত বেশ কয়েকদিন সংখ্যাটা নিয়মিত হারে বাড়ছে। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন, ১ কোটি ১১ লক্ষ ৮১ হাজার ২৫৩ জন। এখনও পর্যন্ত মোট টিকা পেয়েছেন ৪ কোটি ৮৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫৯৪ জন।

মার্চ ২৩, ২০২১
দেশ

ভারতের মাটি ছুঁল আরও ৩টি রাফালে যুদ্ধবিমান

সাধারণতন্ত্র দিবসে রাফালে যুদ্ধবিমানের কৌশল দেখেছে দেশ। এবার ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি বাড়িয়ে বুধবার ফ্রান্স থেকে আরও ৩টি রাফালে এসে পৌঁছেছে দেশে। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ফ্রান্সের একটি বায়ুসেনাঘাঁটি থেকে উড়ান শুরু করে রাফালে বিমানগুলো। প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটারের এই সফরে মাঝ আকাশে রাফালেগুলোতে জ্বালানি ভরে দেয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বায়ুসেনার ট্যাংকার বিমান। টানা ৮ ঘণ্টার উড়ান শেষে ভারতে এসে পৌঁছয় যুদ্ধবিমানগুলো। উল্লেখ্য, প্রায় দুদশক পর নতুন কোনও অত্যাধুনিক বিদেশি যুদ্ধবিমান হাতে পেয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ১৯৯৭ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় এসেছিল রাশিয়ার তৈরি সুখোই যুদ্ধবিমান। যুদ্ধে রাফালে বিমানকে গেম চেঞ্জার বলে মনে করছে বায়ুসেনা। ইতিমধ্যেই এই বিমানকে লাদাখের প্রতিকুল আবহাওয়ায় মহড়া দেওয়া হয়েছে। বিমানটি দশ টন মাল বহন করতে সক্ষম। মাটি থেকে সমুদ্র বা আকাশের কোনও লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানার ক্ষেত্রে এই বিমানের জুড়ি মেলা ভার। চতুর্থ প্রজন্মের মিডিয়াম মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট রাফালে রয়েছে ম্যাটিওর বিয়ন্ড ভিস্যুয়াল রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র স্কাল্প এবং হ্যামার ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশে উড়তে উড়তেই জ্বালানি ভরে নিতেও দক্ষ রাফালে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২১
রাজ্য

ভারতে আল-কায়দার সংগঠন বৃদ্ধিতে হাত জেএমবির

২০১৪-র ২ অক্টোবর খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর এবার মুর্শিদাবাদ থেকে ৬ জন আল-কায়দা সন্দেহভাজন গ্রেপ্তারের ঘটনায় তোলপাড় সারাদেশ। এই সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে জঙ্গি কার্যকলাপের নানা ধরনের অস্ত্র, নথি পাওয়া গেছে বলে দাবি এনআইএ-র দাবি। প্রশ্ন উঠেছে পশ্চিমবঙ্গকে কেন বারে বারে বেছে নিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলো? আল-কায়দার এই ভারতীয় শাখাকে সাহায্যই বা কে করছে? এমন নানা প্রশ্ন গোয়েন্দাদের মনে উঁকি মারছে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি জঙ্গিরা যুক্ত ছিল। তা তদন্তে প্রমাণ করেছে এনআইএ। জানা গিয়েছে, খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণস্থল থেকে সেই সময় যে নথি পাওয়া গিয়েছিল সেখানে লাদেন, আল-কায়দা সংক্রান্ত বেশ কিছু পুস্তিকা মিলেছিল। তখনই প্রথম সন্দেহ দানা বেধেছিল। ইঙ্গিত যে স্পষ্ট ছিল এখন তা দিনের আলোর মত পরিস্কার। শনিবার ভোরে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা আল-কায়দার সঙ্গে যুক্ত সে বিষয়ে নিশ্চিত এনআইএ। খাগড়াগড় বিষ্ফোরণ পরবর্তীতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জেএমবির সদস্যরা বিভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে বেরিয়েছে। কিন্তু তাদের বেশির ভাগকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিল এনআইএ। এক কথায় মনে করা হয়েছিল্ জিএমবি তাদের কার্যকলাপ অনেকটাই গুটিয়ে ফেলেছিল। নজর ঘুরতেই তারা আল-কায়দার হয়ে কাজ করতে শুরু করে। বিস্তার করতে শুরু করল আল কায়দার ভারতীয় শাখা। এমনটাই মনে করছে তদন্তকারীরা। ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল আল-কায়দার ভারতীয় শাখা। কিন্তু কিভাবে বাড়ছে আল-কায়েদার সংগঠন? সূত্রের খবর, জেএমবির সালাউদ্দিন গোষ্ঠী এদেশে আল-কায়েদার সংগঠন বৃদ্ধির প্রধান সহায়ক। সদস্য সংগ্রহ থেকে অস্ত্র পাচার সবেতেই তারা সিদ্ধহস্ত। পরিযায়ী শ্রমিকের ছদ্মবেশে দেশের নানা স্থানে ঘুরে-বেরানো খুব সহজ। সেক্ষেত্রে সন্দেহ থাকে না। এই সুযোগটাকে ভাল ভাবেই কাজে লাগিয়েছে এই জঙ্গিরা। পাকিস্তান থেকে মূলত এই সংগঠন চালানো হয়। মুর্শিদাবাদের এই সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অনেকেই কেরলে যান কাজের জন্য। কেরল থেকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩ জনকে। তাদের বাড়িও মুর্শিদাবাদে অর্থাৎ মোট ৯ জন আল-কায়েদা সন্দেহভাজন। জেএমবির এই গোষ্ঠী ভারতীয় আলকায়দার শাখাকে সর্বতোভাবে সাহায্য করেছে বলেই জানা যাচ্ছে। সদস্য বাড়ানো, অস্ত্রশস্ত্র প্রশিক্ষণ, অস্ত্র লেনদেন সমস্ত কিছুই সাহায্য করেছে জেএমবি। গোয়েন্দাদের একাংশের ধারণা, জেএমবির একটা অংশ মূলত আল-কায়দার ভারতীয় স্লিপার সেলে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে। তারাই এখন আল-কায়দা। নতুন সদস্য সংগ্রহ করা, প্রশিক্ষণ দেওয়া সবই চলতে থাকে জেএমবির হাত ধরেই। ভারতবর্ষে যে সন্ত্রাসবাদ কার্যকলাপ নতুন করে তৈরি করতে চলেছে ঘটনাচক্রে তার উৎস বাংলার মুর্শিদাবাদ।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
দেশ

অসমে ট্রেন-হাতির সংঘর্ষ, লাইনচ্যুত রাজধানী, মৃত অন্তত ৮ হাতি

ভোরের ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। সেই অবস্থাতেই একপাল হাতিকে ধাক্কা মারল রাজধানী এক্সপ্রেস। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় রাজধানী এক্সপ্রেসের পাঁচটি কামরা। ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত আটটি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার জেরে ওই রুটে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল।শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ভোরে অসমের যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাটি নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের লুমডিং ডিভিশনের আওতায়। জানা গিয়েছে, সাইরং থেকে নয়া দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে আসছিল। সেই সময়ই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রেললাইন পারাপার করছিল একপাল হাতি। চারদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় দূর থেকে কিছুই দেখতে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান।গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার দূরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অংশটি হাতির নির্দিষ্ট করিডর নয়। ট্রেনের লোকো পাইলট জানিয়েছেন, সামনে হাতির পাল দেখতে পেয়েই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। কিন্তু হাতিগুলি আরও এগিয়ে আসায় শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি।প্রবল ধাক্কার জেরে ট্রেনের ইঞ্জিন ও পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে স্বস্তির খবর, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও যাত্রীর আহত বা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর যেসব কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল, সেখানকার যাত্রীদের নিরাপদে অন্য কামরায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মোট আটটি হাতি রেললাইন পার হচ্ছিল। তাদের মধ্যে একাধিক হাতির মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত একটি রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়। রেল আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইনচ্যুত কামরা এবং হাতিগুলির দেহ ট্র্যাকে ছড়িয়ে থাকায় উদ্ধারকাজে বেশ সময় লাগছে। সেই কারণে অসমের উপরের অংশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।যাত্রীরা যাতে অসুবিধায় না পড়েন, সে জন্য গুয়াহাটি পৌঁছনোর পর রাজধানী এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত কোচ জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হিন্দু যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা, বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনার নিন্দা বিএনপির

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করল বিএনপি। একই সঙ্গে এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জুড়ে যে হিংসা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর অভিযোগ, একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে।শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বিএনপি। একই সঙ্গে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, হাদির মৃত্যুর পর যেভাবে সারা দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিছক স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে।হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের দফতরে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনাও তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই হামলার ফলে কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন চরম ঝুঁকির মুখে পড়ে। পাশাপাশি নিউ এজ-এর সম্পাদক নূরুল কবীরকে মারধর ও হেনস্থার ঘটনা, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উপর হামলারও নিন্দা করেন তিনি। ভারতীয় হাই কমিশনে হামলার প্রসঙ্গও তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে।এই সব ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস বলে একটি ঘটনার উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক হিন্দু যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ভয়াবহ, ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সমস্ত ঘটনা প্রমাণ করে যে পুরনো একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। তাদের লক্ষ্য বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নস্যাৎ করা এবং দেশে ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ প্রতিষ্ঠা করা।বর্তমান ইউনূস সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারের নাকের ডগাতেই এই সব ঘটনা ঘটছে, অথচ সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক বলে মনে হচ্ছে না। এর ফলে দেশের ভিতরে ও বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাঁর দাবি, এই হত্যাকাণ্ড ও হিংসার বিরুদ্ধে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি তুলেছে। তবুও হিংসা থামছে না, যা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।শেষে তিনি বলেন, শান্তিকামী ও গণতান্ত্রিক দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই অপশক্তিকে সতর্ক করে দিতে চায় বিএনপি। এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশকে ধ্বংস করতে দেওয়া যাবে না। ঐক্যবদ্ধভাবেই এই ষড়যন্ত্র ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ? একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা

বাংলাদেশ জুড়ে ফের অশান্তির আগুন। শিল্প ও সংস্কৃতির দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে। এর আগে ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরেও হামলার ঘটনা ঘটে। প্রশ্ন উঠছে, এই সব তাণ্ডব কি শুধুই ওসমান হাদির মৃত্যুর ক্ষোভ, না কি এর পিছনে রয়েছে সংগঠিত কোনও শক্তি?শুক্রবার রাতে ঢাকার তোপখানা সড়কে অবস্থিত উদীচীর কার্যালয়ে প্রথমে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানিয়েছেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। তাঁর দাবি, ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ধারাবাহিকতার মধ্যেই উদীচীর উপর আঘাত এসেছে।উদীচী কার্যালয়ে হামলার খবর পেয়ে সেখানে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-সহ দলের নেতৃত্ব। সেখানে ইউনূস সরকার দরকার নেই স্লোগান ওঠে বলে জানা গেছে।এই অশান্তির সূত্রপাত হয় এক সপ্তাহ আগে। ঢাকার রাজপথে গুলিবিদ্ধ হন জুলাই অভ্যুত্থানের মুখ ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলি লাগার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাড়তে থাকে।ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আগুন জ্বলে ওঠে। হামলা হয় দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরে। একই সঙ্গে আক্রমণ চালানো হয় বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি এবং প্রখ্যাত সংস্কৃতি কেন্দ্র ছায়ানটেও। ভাঙা হয় বাদ্যযন্ত্র, ছিঁড়ে ফেলা হয় বই। শিল্প ও সংস্কৃতির উপর এই লাগাতার হামলায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী মহল।যে বাংলাদেশ এক সময় গান, নাটক, কবিতা আর মুক্তচিন্তার জন্য পরিচিত ছিল, আজ সেখানে মৌলবাদী হিংসার ছায়া আরও গাঢ় হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal